রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি বনাম আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।

রুকইয়াহ শব্দের অর্থ ঝাড়ফুঁক মন্ত্র ইত্যাদি। পারিভাষিক অর্থে রুকইয়াহ বলতে কুরআন সুন্নাহর অনুসারে রাসুল (সা.) এর দেখানো পদ্ধতিতে কোন অসুস্থ ব্যাক্তি বা জিন, যাদু , বদনজর এ আক্রান্ত ব্যাক্তিকে ঝাড়ফুঁক করাকেই রুকইয়াহ বলে। অর্থাৎ রুকইয়াহ হচ্ছে একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অসুস্থ ব্যাক্তিকে ঝাড়ফুঁক করা হয়, এবং যে চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে শিরক ও ইসলাম বিরোধী কাজের কোনো ছোয়া নেই এবং সম্পূর্ণ রাসুল (সা.) এর দেখানো পদ্ধতিতে।

রুকইয়াহ-চিকিৎসা-পদ্ধতি-বনাম-আধুনিক-চিকিৎসা-পদ্ধতি

আধুনিক কুরআনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বলতে বোঝানো হয় নিজেদের গবেষণার ভিত্তিতে মহান আল্লাহর তায়ালার পবিত্র কুরাআনের আয়াত দ্বারা নিত্যনতুন নিয়মে জিন যাদুর চিকিৎসা করাকেই বুঝায়। অর্থাৎ আমরা বর্তমানে ইউটিউব অথবা ফেইসবুকে যে সকল জিন্নাত এর চিকিৎসার ভিডিও  দেখে থাকি যেমন: মুমিন মুসলমান এর সারোয়ার হুজুর, তৌহিদ মিডিয়ার রাজফুল শেখ হুজুর, কুরআনিক চিকিৎসক এর মাওলানা আরাফাত হোসেন জামাল হুজুর, জিন ও যাদুর চিকিৎসার মোজাদ্দেদ আলী হুজুর ইত্যাদি। অর্থ্যাৎ রোগীর শরীরে জিন হাজির করে, জিনকে জবাই করে, খাচায় বন্ধী করে বা মুমিন জিন এর মাধ্যমে করা সকল চিকিৎসা পদ্ধতিই হচ্ছে নিজেদের গবেষণার ভিত্তিতে আধুনিক কুরআনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারেঃ  01708-732272

আজকের এই রুকইয়াহ সেবার প্রবন্ধে আমরা আলোচনা করবো রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে প্রার্থক্য ও ভালো মন্ধ সকল কিছু বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে।

রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি বনাম আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি:

রুকইয়াহ
রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি যেহেতু রাসুল (সা.) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি তাই এর মাধ্যমে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট পাওয়া যায় এবং রোগী চিরস্থায়ী সমাধান পায়।

ধৈর্য্য: 
রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগী এবং রাকীর দুইজনেরই ধৈর্য্য থাকা জরুরি। বিশেষ করে রোগীর ধৈর্য্য থাকা প্রয়োজন বেশি। রোগীকে তার রোগ অনুযায়ী নিয়মিত ধৈর্য্যের সহিত রুকইয়াহ করে যেতে হয়। সঠিক ভাবে ভালো রাকীর গাইডলাইনে বা সেল্ফ রুকইয়াহ করে যেতে পারলে এর পারমানেন্ট সমাধান পাওয়া যায়।

জিন এর সাহায্য:
রুকইয়াহ পদ্ধতিতে জিনদের কোনো সাহায্য নেওয়া হয়না, বা কোনো রাকী জিনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে না চিকিৎসার প্রয়োজনে, হোক সেটা মুমিন জিন বা দুষ্টু জিন। রুকইয়াহ পদ্ধতিতে একজন রাকী কোনো ধরনের নাজায়েজ পদ্ধতি গ্রহন করে না। একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চেয়ে কুরআন সুন্নাহর আলোকে ঝাড়ফুঁক বা চিকিৎসা করে থাকেন।

তাবিজ:
রুকইয়াহ পদ্ধতিতে রাকিরা কস্মিনকালেও কোনো ধরনের তাবিজ এর ব্যবহার করেন না। বরং রোগীর আগে থেকে শরীরে কোনো তাবিজ পেলে তা ছুড়ে ফেলে দেয় বা নষ্ট করে ফেলে। এবং ঘরকেও তাবিজের আওতা মুক্ত রাখতে তাগিদ দেন। এই পদ্ধতিতে রাকীরা রোগীকে সম্পূর্ণ আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে পাচ ওয়াক্ত নামাজ ও কুরআন সুন্নাহর আমল গুলো ধরিয়ে দেন নিয়মিত করার জন্য। যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ তায়ালা একজন রোগীর দুনিয়া আখিরাত উভয়টাকে সহজ করে দেন।

প্রতারণা:
এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সুস্থতা পেতে গিয়ে প্রতারণা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। রুকইয়াহ চিকিৎসায় জিন রোগির শরীরে হাজির করে, জিন জবাই করে  বা জেল খানায় বন্ধী করে অথনা মুমিন জীন এর সাহা্য্য নিয়ে চিকিৎসা না করে সম্পূর্ণ কুরআন সুন্নাহর অনুসারে রাসুল সা এর দেখানো পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। তাই এই পদ্ধতিতে জিন, যাদু বা কবিরাজ থেকে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ক্ষতিগ্রস্ত:
এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে রাকী এবং রোগী দুজনই নিরাপদ থাকে। কারন এই পদ্ধতিতে জিন জবাই, বন্ধী, হত্যা ইত্যাদি কিছুই করা হয়না। যার ফলে পরবর্তীতে জিনদের থেকে বা জিনদের বংশ থেকে পালটা আক্রমণ এর কোনো সুযোগ থাকেনা। এই পদ্ধতিতে শুদু মাত্র সুস্থতার নিয়তে মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে, রোগীকে কুরআন সুন্নাহর আলোকে ঝাড়ফুঁক করে রোগীর শরীরের সকল যাদু নষ্ট করা হয়। জিন এর আসর থাকলে সেই জিনকে তাড়ানো হয়। কোনো প্রকার জিন বন্ধী জবাই হত্যা প্রক্রিয়ায় যাওয়া হয়না। এবং জিন ও হয়তো বুজতে পারে এইটা রাসুল (সা.) এর দেখানো পদ্ধতি এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জিন, রোগী থকে দূরে সরে যাওয়া ছাড়া, হত্যা, জবাই, বোতলে বন্ধী হাবিজাবি এই জাতীয় কোন কিছুই ঘটে না। যার ফলে রোগী ও রাকী দুইজনই নিরাপদ থাকে।

হাজিরা:
রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের জন্য কোনো প্রকার হাজিরা দেখা হয়না বা হাজিরার নামে কোনো হাদিয়া গ্রহন করা হয়না। এই পদ্ধতিতে রোগীর রোগ নির্নয় করা হয়, রোগীর ভিতরে থাকা ম্যাক্সিমাম লক্ষন যেমন: জিন, যাদু, কুফরি, হাসাদ, ওয়াসওয়াসার লক্ষন সমূহ বা বদনজরের লক্ষন সমূহের সাথে মিলে গেলে তার উপর ভিত্তি করে, রোগীর উপর রুকইয়াহ এর আয়াত সমূহ পাঠ করা হয়। এর মাধ্যমে রোগীর ভিতরে পরিবর্তন দেখা দিলে, তখন রোগীকে পরিপূর্ণ রুকইয়াহ সেবা দেওয়া হয়।

হাদিয়া:
রুকইয়াহ চিকিৎসা রাকীদের হাদিয়া খুবই সীমিত। রাকীদের অভিজ্ঞতার আলোকে হাদিয়া কিছুটা উঠা নামা করে। আবার কোনো কোনো রাকী ঘন্টা ভেদে হাদিয়া চার্জ করে থাকেন। অর্থাৎ রোগীকে এক ঘন্টার মত ঝাড়ফুঁক বা চিকিৎসা করালে সেই অনুযায়ী হাদিয়া নিয়ে থাকেন। তবে তা খুবই সীমিত।

ইবাদতমুখী:
রুকইয়াহ চিকিৎসায় একজন রাকীর যতটুকু দায়িত্ব পালন করে যেতে হয় ঠিক তেমনি রোগীকে ও ততটুকু সাড়া দিতে হয়। অর্থ্যাৎ রুকইয়াহ চিকিৎসায় রাকি, চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীকে পাচ ওয়াক্ত নামাজের তালিম দিয়ে থাকে, যেটা অবশ্যই পালননীয়। এর পাশাপাশি দৈনন্দিন হেফাযতের আমল ও জিকির সমুহ শিখিয়ে দেয়, যা পাচ ওয়াক্ত নামাজের পর অবশ্যই করনীয়। রোগী মহিলা হলে পর্দার বিধান সম্পর্কে অবগত করে, এবং মেনে চলার তাগিদ দিয়ে থাকেন। যার মাধ্যমে একজন রোগী ইসলামকে প্র‍্যাকটিস করার সুযোগ পায়। যা তাকে একজন মুত্তাকী ও পরহেজগার বানিয়ে দেয়।

আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি:

আধুনিক 
এই পদ্ধতিতে নিজেদের গবেষণার ভিত্তিতে জায়েজ নিয়মে কুরআন সুন্নাহর আয়াতের মাধ্যমে জিন যাদুর রোগিকে চিকিৎসা করা যায়। যেমন জিন রোগীর শরীরে বা রোগীর চোখ বন্ধ করে রোগীর চোখের সামনে এনে, জবাই, হত্যা, বন্ধী ইত্যাদি নিয়মে চিকিৎসা করা হয়। অর্থ্যাৎ ইউটিউবে আমরা যে সকল চিকিৎসা সচরাচর দেখে থাকি, ঐ সকল চিকিৎসাই হচ্ছে আধুনিক চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত।

ধৈর্য্য:
এই পদ্ধতিতে ম্যাক্সিমাম সময়ে রোগীর তেমন কোনো ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়না। সরাসরি জিনকে রোগীর শরীরে ধরে এনে চিকিৎসা করা হয়। যাদু প্রভাভ থাকলে বেশিরভাগ সময়ই মুমিন জিন এর সাহায্য নিয়ে যাদু গুলো নষ্ট করা হয়। তাই, তৎক্ষনাত একটা সমাধান পাওয়া যায়।

জিন এর সাহাজ্য নেওয়া:
এই পদ্ধতিতে রাকী বা কবিরাজ এর কাছে অনেক জিন থাকে। যাদেরকে উনারা মুমিন জিন বলে থাকে। এই চিকিৎসায় সবচেয়ে বেশি জিন এর সাহায্য নেওয়া হয়, যা নিয়ে আলেমদের মাঝে অনেক এখতেলাপ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ আলেমসমাজ এটাকে নাজায়েজ বলেছেন। কথিত এই জিন গুলো আদো মুমিন জিন কিনা এইটা একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারেনা। এই কথিত মুমিন জিন গুলো দ্বারাই, অনেক সময় রোগী আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।

তাবিজ:
এই চিকিৎসায় অনেকে হুজুরই তাবিজ এর ব্যবহার করে থাকেন। রোগীকে তাবিজ দিয়ে থাকে। যেটা সবচেয়ে খারাপ দিক একজন রোগীর জন্য। একে তো এর মাধ্যমে রোগী সুস্থতা পাওয়ার হার খুবি কম। অন্যদিকে এই তাবিজে শিরকের কোনো ছোয়া থাকলে ঈমান চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। আর শিরক থেকে ও না থাকে তাহলে ও তাবিজ আপনাকে আমল থেকে বিরত রাখবে। যা আপনার দুনিয়াবি জীবন ও আখিরাতের জীবন দুইটার জন্যই ক্ষতিকর।

প্রতারণা:
এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রচুর পরিমানে প্রতারণা হওয়ার সুযোগ থাকে। যেহেতু জিনকে রোগীর শরীরে বা রোগীর চোখের সামনে হাজির করে চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসায় জিনকে বন্ধী থেকে শুরু করে জবাই, হত্যা, খাচায়, আটকানো আরো কতকি করা হয়। এইগুলো আদৌ কতটুকু সত্য বা কতটুকু কার্যকর তা একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। কারন এইখানে জিন আমাদের সামনে যেভাবে অভিনয় করবে আমরা সেই ভাবেই বিশ্বাস করে ফেলবো। অনেক সময় চলে যাওয়া, মরে যাওয়া, খাচায় বন্ধী হওয়ার অভিনয় করে থাকে, যার মাধ্যমে চিকিৎসক অনেক বিভ্রান্তিতে পড়ে যায় তখন ভুল চিকিৎসা করে থাকেন। অনেক সময় কে যাদু করছে বা কুফরি করছে সেটা রোগীর চোখে দেখানো হয়, এইটাও বেশিরভাগ সময় মিথ্যা হয়ে থাকে। কারন জিন যাই দেখাবে আমরা তাই দেখবো। সুতরাং এই চিকিৎসা পদ্ধতি রোগী এবং চিকিৎসক প্রচুর বিভ্রান্তিতে পড়ার সুযোগ থাকে।

ক্ষতিগ্রস্ত :
এই পদ্ধতিতে যেহেতু জিনকে জবাই, হত্যা, বন্ধী ইত্যাদি পদ্ধতি অবলম্বন করে চিকিৎসা করা হয়, তাই চিকিৎসক এবং রোগী উভয়েই হুমকিতে থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসক সর্বদায় হুমকিতে থাকেন। একটু এদিকসেদিক হলেই বা আমলে ঘাটতি হলেই জিনেরা আক্রমণ করে বসে। রোগীর উপর সুযোগ পেলে জিনদের পরবর্তী বংশধর থেকে ও আক্রমণ হ ওয়ার সুযোগ থাকে। তাই এই পদ্ধতিতে আরোগ্য লাভ করার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ থাকে।

হাজিরা:
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রাকীরা হাজিরা দেখার জন্য হাদিয়া নিয়ে থাকে, সেটা ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই পদ্ধতিতে কোনো কোনো রাকী বা কবিরাজ সপ্নের মাধ্যমে রোগীর রোগ নির্নয় করে থাকে। আবার কোনো রাকী জিনের মাধ্যমে রোগীর হাজিরা দেখে থাকে, বা এক রোগীর জন্য অন্য আরেক রোগীর চোখে হাজিরা দেখে থাকে। এই ধরনের পদ্ধতি গুলোই অবলম্বন করে থাকে একজন জিনের রোগীর হাজিরা দেখার জন্য।

হাদিয়া:
আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন হুজুর বা চিকিৎসকদের হাদিয়া নিয়ে। এই পদ্ধতিতে বেশিরভাগ চিকিৎসকদের হাদিয়া ১০০০ টাকা থেকে ১,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। খুবই উচ্চ মূল্যে হাদিয়া নির্ধারণ করে এই চিকিৎসা সম্পাদন করা হয়।

ইবাদত মুখী:
এই পদ্ধতিতে রোগীরা দ্রুত তাদের রোগ থেকে সেরে উঠে । তাই বেশির রোগীই আমলের দিকে যায় না। এছাড়া এই পদ্ধতিতে যেসব রোগীরা চিকিৎসা করতে আসেন তাদের বেশিরভাগ রোগীই আমলহীন বা দ্বীনবিমূখ হয়ে থাকে। যাদের লক্ষ্য ও থাকে শর্টকাট সমাধানে যাওয়া। যেনো কোনো ধরনের এক্সট্রা আমল বা নিয়ম রীতিতে যেতে না হয়। তাই এই পদ্ধতির অধিকাংশ রোগীরাই দ্বীনবিমূখ থাকে, বা ইবাদত মুখী হয়ে উঠতে পারে না।

সর্বোপরি বলা চলে, রুকইয়াহ চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে রাসুল (সাঃ) এর দেখানো চিকিৎসা পদ্ধতি। যার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অশেষ সাহায্য থাকে এবং চুড়ান্ত সমাধান পাওয়া যায়, এই চিকিৎসা সেবায়। আর অবশ্যই রাসুল (রাঃ) দেখানো পদ্ধতিতেই আমাদের জন্য সবচেয়ে কল্যাণ রয়েছে। অতএব আমরা জিন, যাদুর সমস্যার জন্য বেশি বেশি রুকইয়াহ সেবা নিবো এবং আল্লাহর তায়ালার রহমতে সুস্থতা লাভ করবো। অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন এই নাম্বারেঃ 01708-732272

Leave a Comment