বরই গাছের পাতা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে একটি কার্যকরী ঔষুধি পাতা। শরীরের জ্বর জ্বর ভাব, মাথার ত্বক পরিস্কার, পেট খারাপ, বদহজম ও ক্ষুদা মন্ধ দূর হওয়া, খাবারের রুচি ফিরে আসা ও যাদু নষ্টের জন্য এই কুল গাছের পাতা খুবই কার্যকরী ও ওষুধ ও বটে। বিশেষ করে পৃথিবীর অধিকাংশ রাকী বা জিন যাদুর চিকিৎসকগন যাদু নষ্টের জন্য বরই পাতার গোসলের তাগিদ দিয়ে থাকেন।
যাদু নষ্টের জন্য কতিপয় কার্যকরী পদ্ধতি রয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বরই পাতার গোসল। এই পদ্ধতিটি যাদু নষ্টের জন্য অনেক ফলপ্রসূ এর মাধ্যমে যাদুতে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এক অভাবনীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। রোগীর শরীরে থাকা যাদু নষ্ট হয়ে রোগীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থা উন্নতি ঘটে। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে বরই পাতার গোসল টি করতে পারলে রোগীর শরীরে থাকা সকল যাদু নষ্ট হয়ে যায়। তাই আজকের এই আর্টকেলে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে যাদু নষ্টের জন্য বরই বা কুল পাতার গোসল টি করবেন।
অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন : 01708-732272
জাদুর চিকিৎসায় বরই পাতার গোসল
শরীরের যেকোনো যাদু নষ্টের জন্য আমরা সাধারণত রুকইয়াহ এর ৭ দিনের গোসল টি অনুসরণ করে থাকি। আপনারা চাইলে এর বেশি বা সুস্থতা না আসা পর্যন্ত ও করতে পারেন, কোনো সমস্যা নেই বরং এতে আরো বেশী উপকারিতা রয়েছে।
নিয়তঃ
রুকইয়াহ এর যেকোনো চিকিৎসার জন্য নিয়ত খুবই জরুরী। সুতরাং যাদু নষ্টের গোসলের সাপ্লিমেন্ট টি তৈরী করার পূর্বে শুরুতেই আমরা মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে সুস্থতার নিয়ত করে নিবো। এইভাবে ৭ দিন বা তার বেশি করে থাকলে প্রতিবারই সাপ্লিমেন্ট তৈরীর পূর্বে আমরা নিয়ত করে নিবো।
বরই পাতার গোসলের সাপ্লিমেন্ট তৈরীর প্রক্রিয়াঃ
প্রথমেই আমরা গোসলের পূর্বে আমাদের শরীর টি আয়তুল কুরসি ও তিন কুল পড়ে আমাদের শরীরে ফু দিয়ে শরীর টি বন্ধ করে নিবো। এরপর আমরা সরাসরি বরই বা কুল গাছের নিচে চলে যাবো। বিসমিল্লাহ বলে ফ্রেশ দেখে ৭ টি বরই পাতা ছিড়ে নিবো। অতপর পাতা গুলো ধুয়ে পাটাতে পিষে একদম ভর্তার মত করে ফেলবো। এরপর গোসল করার জন্য এক বালতি নিয়ে সেই পানিতে বাটা বরই পাতা টুকু বালতির পানিতে ঢেলে নাড়িয়ে দিয়ে একদম মিক্স করে ফেলবো। এরপর নিম্নোক্ত দোয়া গুলো পড়বো।
যাদু নষ্টের দোয়াঃ
১) দুরুদ শরীফ ৭ বার
২) সুরা ফাতিহা ৭ বার
৩) আয়তুল কুরসি ৭ বার
৪) সুরা ইখলাস ৭ বার
৫) সুরা ফালাক ৭ বার
৬) সুরা নাস ৭ বার
৭) দুরুদ শরীফ ৭ বার
যদি সম্ভব হয়, আর সুযোগ থাকে, তাহলে এর সাথে নিচের আয়াতগুলোও (৩বার বা ৭বার) পড়তে পারেন।
৮) সুরা আরাফ ১১৭-১২২ আয়াত
৯) সুরা ইউনুস ৮১-৮২ আয়াত
১০) সুরা তহা ৬৯ আয়াত
এই দোয়া গুলো প্রতিটি আমরা যত বার পড়বো, তত বারই বালতির পানিতে ফু দিয়ে নিবো। ধরুন দুরুদ শরীফ ১ বার পড়লাম বালতির পানিতে ১ বার ফু দিবো। এইভাবে যতবার পড়বো ততবার ফু দিবো। সেইম প্রতিটি দোয়ার ক্ষেত্রে একই নিয়ম। প্রতিটি দোয়া যতবার পড়বো ততবার বালতির পানিতে ফু দিবো।
এরপর আবার বালতির পানি গুলো নেড়ে দিবো যেনো পানির নিচে জমে থাকা বাটা পাতাগুলো আবার পুরো পানির সাথে মিক্স হয়ে যায়। এরপর সুস্থতার নিয়ত বালতি থেকে ১ গ্লাস পানি নিয়ে সম্পূর্ণ টুকু পান করে নিবো। অতপর বালতির বাকি পানি টুকু দিয়ে গোসল করে নিবো। গোসল করা অবস্থায় এই পানিতে আলাদা কোনো পানি মিক্স করবেন। বালতির সম্পূর্ণ পানি টুকু প্রথমে গোসল করে নিবেন। গোসল পরিপূর্ণ না হলে এরপর নতুন করে পানি নিয়ে গোসল সেরে ফেলবেন।
আশাকরি, এইভাবে যাদু নষ্টের ৭ দিনের বড়ই পাতার গোসলটি অনুসরণ করলে মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা জিন, যাদু, নজর , মুখ দোষ থেকে সুস্থতা লাভ করবেন।
অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন : 01708-732272
দ্রষ্টব্যঃ
- এই পানি চুলার আগুনে গরম করবেন না, এর সাথে অন্য পানি মিশাবেন না। শীতকালে গোসল করতে কষ্ট হলে কুসুম গরম পানিতে এই বরই পাতা গুলিয়ে গোসল করতে পারেন। তবে সাধারণ পানিই উত্তম।
- আর বরই পাতা না পেলে কর্পূর পাতা অথবা অল্প কর্পুর দিয়েও একই নিয়মে গোসল করতে পারেন, তবে বরই পাতাই উত্তম।
- এসব আয়াত গোসলখানার বাহিরে পড়বেন। তবে সেখানে দোয়াকালাম পড়ার পরিবেশ না থাকলে আগে বরই পাতা বেটে দোয়াগুলো পড়ে ফুঁ দিন, এরপর গোসলখানায় নিয়ে পানিতে মিশিয়ে গোসল দিন।
1 thought on “যাদু নষ্টে বরই পাতার গোসল। (সর্বাধিক উপকারিতা)”