সাধারনত নজর অর্থ দৃষ্টি আর বদনজর অর্থ হচ্ছে কুদৃষ্টি বা হিংসাত্মক দৃষ্টি। অর্থাৎ মানুষ একে অপরের সফলতা সুখ সামৃদ্ধি ইত্যাদি দেখে মনে মনে বা প্রকাশ্যে যে হিংসাত্মক মনোভাব প্রকাশ করে বা কুদৃষ্টি দেয় তাকেই বদনজর বলে। যাকে আবার আঞ্চলিক ভাষায় মুখ দোষ বলা হয়ে থাকে। ইংরেজীতে যাকে Evil Eye (বদনজর) ও বলা হয়ে থাকে।
হাদীসের আলোকে বদনজরঃ
আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, “বদ নজর সত্য”। [বুখারি: ১০/১১৩]
তিনি আরও বলেছেন, “কোন বস্তু যদি তাক্বদীরকে অতিক্রম করতো তবে তা হতো বদ নজর”। [তিরিমিযী ২০৫৯, আহমাদ ৬/৪৩৮]
তিনি আরও বলেন, “আমার উম্মতের মধ্যে তাক্বদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু হবে বদ নজর লাগার ফলে”। [আত তারিখ, বুখারি]
অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন যাদু বদনজরের রুকইয়াহ সেবা নিতে কল করুনঃ 01708732272
এখনো দেখা যায় আমাদের সমাজে অনেকেই বদনজর কে বিশ্বাস করতে চায়না। তারা এইটাকে কুসংস্কার মনে করে। বদনজর সম্পর্কে আমাদের আকিদা হতে হবে একদম সচ্ছ । যেহেতু ইসলামে বদনজর সত্য এবং উপরোক্ত রাসুল সাঃ এর হাদিস অনুসারে প্রমাণিত । তাই এটাকে অবিশ্বাস করার কোনো সুযোগ নেই। তানা হলে আমাদের ঈমানে ত্রুটি দেখা দিবে। বদনজর এর প্রভাব খুবি মারাত্মক। এর প্রভাবে মানুষের বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি সহ ছোট খাটো অসুস্থতা থেকে মৃত্যু অবধি নিয়ে যায়। তাই এর থেকে বেচে থাকা আমাদের খুবই জরুরী। আজকের এই রুকইয়াহ সেবার প্রবন্ধে আমরা বদনজর এর প্রকারভেদ, বদনজরের লক্ষণ সমূহ এবং বদ নজর থেকে হেফাযতের দোয়া সমূহ ও রুকইয়াহ পদ্ধতি ইত্যাদি বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বদনজরের প্রকারভেদঃ
প্রকারভেদ এর দিক থেকে আমরা বদনজরকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করেছি। যথাঃ
১) মানুষের নজর ২) জিনের নজর
মানুষের নজর:
আমাদের দৈন্দিন জীবন যাপনের সুখ শান্তি সফলতা ইত্যাদি দেখে অন্য মানুষ আমাদের জন্য যে হিংসাত্মক দৃষ্টিপাত করে, বা কুনজর দেয়। অথবা মুখে কিছু বলে। যার প্রভাবে আমাদের জীবনে ছোট থেকে শুরু করে বড় ধরনের বিপর্যয় পর্যন্ত নেমে আসে। এটাইকে বলে মানুষের বদনজর।
জিনের নজর:
জিনের মাধ্যমে যে নজর লাগে বা জীন সরাসরি মানুষের শরীরে আছর না করে দৃষ্টির মাধ্যমে দূর থেকে যে ক্ষতি সমূহ করে থাকে। তাকেই জীনের নজর বলে। এই জীনের নজর মানুষের নজর থেকে খুবই মারাত্মক হয়। মানুষের বদনজর তো আমরা দিন শেষ আছ করতে পারি এবং যা অল্প কিছু ট্টিটমেন্ট বা রুকাইয়াতেই সেরে যায়। কিন্তু জিনের কুনজর এতটাই ডেঞ্জারাস যে আমরা দিনের পর দিন চিকিৎসা করে যায় কিন্তু আমরা বুজতে পারিনা এইটা জিনের কুনজরের প্রভাবে হচ্ছে।
বদনজর কিভাবে লাগেঃ
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি নানা রকম হয়ে থাকে। কেউ ভালো নজরে দেখে, আর কেউ হিংসাত্মক দৃষ্টিতে তাকায়। অনেক সময় দেখা যায়, ভালো কোনো জিনিসের প্রতি মানুষের বদনজর লেগে যায়। খারাপ নজর লাগলে— নজরকৃত ব্যক্তি বা জিনিস ক্ষতি ও অনিষ্টের সম্মুখীন হয়।
কারো প্রতি দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহর নাম না নিয়ে বা তার জন্য বরকতের দোয়া না করে যখন গুণ বর্ণনা করা হয়, তখন সেখানে উপস্থিত শয়তানি আত্মাগুলো তার এ দৃষ্টি ও বরকতহীন গুণের কথাগুলো লুফে নিয়ে তার সঙ্গে ঢুকে পড়ে। অতঃপর আল্লাহর ইচ্ছায় এবং তার মধ্যে প্রতিরক্ষার কোনো ব্যবস্থা না থাকলে বদনজরের কুপ্রভাব দেখা দেয়।
বদনজর থেকে বাঁচার জন্য কি করবো?
১। সব কথার আল্লাহর মাঝে আল্লাহর জিকির করবে, উদাহরণ আগের পর্বে দেয়া হয়েছে।
২। হাদিসে বর্ণিত সকাল সন্ধ্যার দোয়াগুলো পড়বে, বিশেষতঃ “বিসমিল্লাহিল্লাযি….” এটা আর তিন ক্বুল তিনবার।
৩। মেয়ে হলে অবশ্যই পর্দার অভ্যাস করবে।
৪। আর বাচ্চাদের ক্ষেত্রে উচিত হলো, মাঝেমধ্যেই সুরা ফালাক নাস পড়ে বাচ্চাদেরকে ফুঁ দিবেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটা করেছেন।
৫। এই দু’আ সকাল-সন্ধ্যায় কয়েকবার পড়ে বাচ্চাদের ফুঁ দিয়ে দিবেন, নিজের জন্যও পড়বেন –
أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
আল্লাহ আমাদেরকে সকলপ্রকার অনিষ্ঠ থেকে হিফাজত করুন। আমীন।
বদনজর রোধে কতিপয় কুসংস্কারঃ
আমাদের সমাজে বদনজর রোধে কতিপয় কুসংস্কার রয়েছে যেইগুলা সম্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা মনে করে থাকি বদনজর থেকে আমরা পরিত্রান পাবো। এইগুলাতে তো কিছু হয়ই না, বরং আমাদের ঈমান ধবংস হওয়ার পথে চলে যায়। কারন এইসব আকিদা লালন করাই শিরক।
যেমন আমরা আমাদের শিশুদেরকে মানুষের বদনজর বা হিংসাত্মক দৃষ্টি থেকে হিফাজত করার জন্য কপালে গোলাকার কালো টিপ দিয়ে থাকি। এরপর আমাদের বিভিন্ন ফলফলাদির গাছে জুতা, ঝাড়ু, গরুর হাড্ডি বা দাত ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখি, যেনো গাছের ফলন কমে না যায় এবং মানুষের বদনজর থেকে রক্ষা পায়।
তারপর আমাদের ব্যবসা বানিজ্যর অবনতি হলে সকাল সন্ধ্যায় দোকানপাটে সোনা রুপার পানি ( যে পানিতে সোনা বা রুপা ভিজিয়ে রাখা হয়।) ছিটানো হয়। নিয়ত থাকে এর দ্বারা যেনো ব্যবসায় এর আয় উন্নতি বেড়ে যায়। এই সমস্ত পদ্ধতি গুলোই হচ্ছে শিরকি আকিদা। এইগুলা করাতে উপকার তো দূরের কথা আমাদের ঈমান ভেংগে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই আমাদের বদনজর রোধে এই ধরনের কুসংস্কার, এছাড়া ও সমাজে আরো অন্যান্য যত কুসংস্কার আছে সব গুলই পরিহার করতে হবে। আমাদের সব সময় কুরআন ও রাসুলের সুন্নাহ আলোকে সমস্যার সমধান করতে হবে।
বদনজর রোধে আমাদের করা কতিপয় বর্জনীয় কাজ সমুহ।
১) সোশ্যাল মিডিয়াতে আমাদের বিভিন্ন যায়গায় ঘুরতে যাওয়ার ছবি, শপিং করার ছবি, খাওয়া দাওয়ার ছবি ইত্যাদি শেয়ার না করা।
২) সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের সুখ শান্তি সফলতা ইত্যাদির জানান না দেওয়া।
৩) নিজের পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অন্যকারো কাছে অহেতুক প্রশংসা করা থেকে বিরত থাকা।
৪) বাচ্ছারা খুবই মেধাবী, বা ভদ্র বা অন্য কিছু যা দারা মানুষের নজর কাড়ে, এইগুলো প্রতিবেশি বা অন্যকারো কাছে অহেতুক প্রকাশ না করা।
৫) বিশেষ করে মা বোনদের সাবধানতা অবলম্ভন করা, কারন মা বোনরা অতি অল্পতেই কারন ছাড়া অন্যকারো কাছে ফ্যামিলির প্রশংসা ভালো দিক গুলো বর্ননা করা শুরু করে দেয়।
৬) সবসময় হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করে এই ধরনের মানুষ এড়িয়ে চলা।
৭) এছাড়া ও লোক দেখানো যত কর্মকান্ড আছে এইগুলা আমাদের এড়িয়ে চলা, এই সকল কাজ সমূহ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে যেমনি ভাবে আমাদের বদনজরের কু প্রভাব থেকে রক্ষা করবে, অপরদিকে আমাদের মনে জাগ্রত হওয়া অহংকারকে ও ধ্বংস করবে।
অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন যাদু বদনজরের রুকইয়াহ সেবা নিতে কল করুনঃ 01708732272
বদনজর এর লক্ষন সমূহ :
যে সকল বদনজর এর লক্ষন সমূহ আমাদের মধ্যে বিদ্যমান থাকলে আমরা বুজবো আমাদের বদনজর লেগেছে তার লিস্ট নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১) শরীরের সব সময় জর থাকা কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২) কাজ কর্ম, পড়াশোনা, ও ইবাদতে মন না বসা। বিশেষ করে ইবাদতে অনীহা আসা।
৩) কোনো কারন ছাড়াই কান্না আসা।
৪) বেশিভাগ সময় শরীর দূর্বল থাকা, খেতে না চাওয়া বমি বমি ভাব আসা।
৫) চেহারা ধূসর বা হলুদ বর্ণ ধারন করা।
৬) মাঝেমধ্যে বুক ধড়ফড় করা, দমবন্ধ বা অসহ্য লাগা।
৭) অতিরিক্ত চুল পড়া। চিকিৎসায় কাজ না হওয়া।
৮) আত্মীয় সজন বন্ধুবান্ধব এদের কাউকে দেখলে বিরক্ত লাগা।
৯) প্রচুর পরিমানে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেওয়া। বিশেষ করে পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১০) মেজাজ সব সময় রুক্ষ থাকা।
১১) অল্পতেই রেগে যাওয়া।
১২)বিভিন্ন রোগব্যাধি লেগে থাকা, ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়ার পর ও কোনো উন্নতি না আসা।
১৩) হাতে পায়ে গালে সব সময় ব্যাথা থাকা বা শরীরের ব্যথা একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় নাড়াচাড়া করা।
১৪) ব্যবসা বা কাজ কর্মে ঝামেলা লেগে থাকা এবং কোনো উন্নতি না হওয়া।
১৫) আমরা যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৬) কোনো কারন ছাড়াই কান্না আসা।
১৭) বাচ্ছারা খেতে না চাওয়া।
১৮) বাচ্ছারা অহেতুক কোনো কারন ছাড়া সারাক্ষন কান্না করা।
১৯)বাচ্ছাদের আচার আচরণে অসাভাবিকতা লক্ষ্য করা।
২০) আসে পাসে সবসময় ছায়ার অনুভব করা বা কেউ হাঠাচলা করতেছে এইরকম টের পাওয়া।
২১) রাতে ঘুমের মধ্যে ভয়ানক সপ্ন দেখা ইত্যাদি।
এইগুলার মধ্যে যদি দুই একটা লক্ষন মিলে যায় তাহলে ঘাবড়ানোর কিছুই নেই সাভাবিক ধরে নিবেন যা আমাদের দৈনন্দিন নামাজ আর আমলেই সেরে যাবে। আর যদি ম্যাক্সিমাম লক্ষন গুলো মিলে যায় এবং যেইগুলা ডাক্তারি সমস্যা সেইগুলো ডাক্তার দেখানোর পর ও পরিত্রান পাচ্ছেন না তাহলে বদনজরের রুকাইয়া করতে হবে।
বদনজরের চিকিৎসা বা প্রতিকারঃ
নিজের এবং পরিবারের সমস্যার জন্য বদনজরের রুকইয়াহ করতে পারেন। বদনজরের রুকইয়াহ খুবই সাধারণ রুকইয়াহ। এতে অন্যান্য জীন বা যাদু গ্রস্থ রোগীর রুকইয়াহ এর মত সাইড ইফেক্ট হয়না। যে কেউ এই রুকইয়াহ নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য করতে পারেন অথবা কোনো বিশস্ত রাকী দিয়ে ও রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে পারেন। ইন শা আল্লাহ খুব দ্রুতই সুস্থতা লাভ করবেন।
বদনজরের চিকিৎসা দুইটি ধাপে করা যায়। প্রথম টি খুবই সহজ, কেউ একজন আপনার কোনো একটি কাজের প্রশংসা করলো, ব্যস এর পর থেকেই আপনার অসুস্থতা শুরু হয়ে গেলো, এবং ঐকাজটি আর আপনি করতে পারছেন না, করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যান। অর্থ্যাত যার মাধ্যমে আপনার বদনজর লেগেছে তাকে যদি শনাক্ত করতে পারেন।তাহলে আমির ইবনে রাবি’আ এবং সাহল ইবনে হুনাইফ রা. এর হাদিস এর ব্যাপারটা অনুসরণ করলেই হবে। অর্থাৎ যেই ব্যাক্তির মাধ্যমে নজর লেগেছে তাকে অযু করতে বলবেন, তার অযুর পানিগুলো একটা পাত্রে জমা করবেন, এরপর আক্রান্ত ব্যাক্তির গায়ে ঢেলে দিবেন। নোটঃ এই পদ্ধতি সকলের জন্য।
সুওয়ালঃ কুলি করার পানিও কি জমা করবে?
উত্তরঃ যদিও বা এক হাদিসে আছে কুলির কথা, তবে না নিলেও সমস্যা নেই। এমনকি অধিকাংশের ক্ষেত্রে শুধু হাতমুখ ধোয়া পানি নিয়ে অপরজন হাত মুখ ধুলেই বদনজর নষ্ট হয়ে যায়।
যে বলেছে তার কাছ থেকে অযুর পানি নিতে পারবেন না? না পারলেও অসুবিধা নেই। তাকে বাসায় দাওয়াত দেন। এরপর হাত ধোয়ার জন্য পানি দিন, একটা বাটি দিন। এরপর সেই পানিটা নিজের গায়ে ঢালবেন।
একইভাবে যদি আপনি নিজে কোনো কথা বলার পর অসুস্থতা অনুভব করেন তাহলে নিজের অযুর পানি নিজের গায়ে ঢালুন।
বাবা-মার নজর সন্তানের লাগে না- এই টাইপের কথার কোন ভিত্তি চোখে পড়েনি। বরং কোনো বাচ্চা হুট করে অসুস্থ হলে পরিবারে সবার অযুর পানি নিয়ে আগে তার গায়ে ঢালা উচিত
দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
যদি জানা না যায় কার নজর লেগেছে, বা জানলে ও তার অযুর বা হাত দোয়ার পানি ব্যবস্থা করার সম্ভবনা নেই, তাহলে নিচের পদ্ধতি ফলো করতে হবে।
নিন্মে বর্ণিত দোয়া ও সূরাগুলো নিজের মাথায় বা বুকে হাত রেখে পড়তে পারেন অথবা পড়ার পর হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে হাত বুলিয়ে নিতে পারেন। এই পদ্ধতি ছোট বাচ্চা-বয়স্ক, ছেলে-মেয়ে সবার জন্য প্রযোজ্য ।
أُعِيْذُكُمْ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّةِ ، مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উ’ঈযুকুম বিকালিমা তিল্লা হিত্তাম্মাতি, মিন কুল্লি শাইত্বা-নিও- ওয়া হাম্মাতি, ওয়ামিন কুল্লি আ’ঈনিল্লা-ম্মাতি।
اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلَيْهِ وَأَذْهِبْ عَنْهُ حَرَّ الْعَيْنِ وَبَرْدَهَا وَوَصَبَهَا
আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলাইহি ওয়া আযহিব ‘আনহু হাররিল ‘আইনি ওয়া বারদাহা ওয়া ওয়াসাবাহা
بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيْكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيْكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِيْ عَيْنٍ
বিসমিল্লাহি ইউবরিকা ওয়া মিন কুল্লি দা-ইন ইয়াশফিকা ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা হাসাদ, ওয়া শাররি কুল্লি যি ‘আইন
اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اَللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ
আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাদানী, আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী সাম্‘ঈ আল্লা-হুম্মা ‘আ-ফিনী ফী বাসারী। লা ইলা-হা ইল্লা আনতা।
بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ، مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ، مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ، اللَّهُ يَشْفِيكَ، بِسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ
বিসমিল্লা-হি আরকীক্, মিন্ কুল্লি শাইয়িই ইউ’যীক্। মিন্ শার্রি কুল্লি নাফসিন্ আও আ’ইনি হাসিদিন, আল্লা-হু ইয়াশফীক্, বিসমিল্লা-হি আরকীক্।
بِاسْمِ اللَّهِ يُبْرِيكَ، وَمِنْ كُلِّ دَاءٍ يَشْفِيكَ، وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ، وَشَرِّ كُلِّ ذِي عَيْنٍ
বিসমিল্লা-হি ইউবরীক্, ওয়ামিন কুল্লি দা-ই ইয়াশফীক। ওয়ামিন শার্রি হাসিদিন ইযা- ‘হাসাদ। ওয়া শার্রি কুল্লি যী “আঈন ।
اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبْ الْبَاسَ، اشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقَمًا
আল্লা-হুম্মা রাব্বান না-স আযহিবিল বা’স , আশফি ওয়া আনতাশ শা-ফী লা-শিফাআ ইল্লা-শিফাউকা শিফাআল লা-ইউগা-দিরু সাক্বামা।
এরপর সুরা ফাতিহা
আয়াতুল কুরসি ১বার,
সুরা ইখলাস,সূরা ফালাক সুরা নাস ৩ বার করে পড়বেন।
এরপর দুই হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীর মুছে নিবেন।
চাইলে সুরা ফালাক নাস এর আয়াত গুলো বার বার রিপিট করে পড়তে পারেন করতে পারেন। সবধরনের রুকাইয়ায় এগুলো বিশেষভাবে উপকারী। আর বাচ্চা বা অন্যের জন্য রুকাইয়াহ করতে চাইলে বাচ্চা/রোগীর মাথায় হাত রেখে এই দুয়াগুলো পড়বেন এবং মাঝেমাঝে বাচ্চা/রোগীর গায়ে ফুঁ দিবেন, এভাবে কয়েকবার করবেন।
সমস্যা বেশি হলে উল্লেখিত পদ্ধতিতে রুকাইয়া করা শেষে আরেকবার এগুলো পড়ে পানিতে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন খাবেন এবং গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। সমস্যা ভালো না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন এই দুটো কাজ করবেন । এছাড়া কোন অঙ্গে ব্যাথা থাকলে এসব দোয়া-কালাম পড়ে তেলে ফুঁ দিয়ে প্রতিদিন মালিশ করতে পারেন। তবে জয়তুন /অলিভ অয়েল হলে বেশি ভালো হয়
বি:দ্র: দোআগুলো বাংলায় লিখে দেয়া হয়েছে কিন্তু পড়ার ক্ষেত্রে বাংলা উচ্চারণ সহি হয় না। তাই আরবিতে পড়তে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল ধরনের বদনজর, কুদৃষ্টি, জিন যাদু ইত্যাদির সমস্যা থেকে হেফাযত করুক। আমীন।
অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন যাদু বদনজরের রুকইয়াহ সেবা নিতে কল করুনঃ 01708732272
7 thoughts on “বদনজর কি? কাকে বলে? বদনজরের লক্ষণ সমূহ ও প্রতিকার।”