দীর্ঘ দিনের পেটের যাদু নষ্টের আমল

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ কে যাদুতে আক্রান্ত করার জন্য জিন ও যাদুর কবিরাজরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের অঙ্গে প্রত্যঙ্গে যাদু করে থাকে। যেমন: পেটের যাদু, মাথার যাদু, বুকের যাদু ইত্যাদি। এর মধ্যে পেটের যাদু, কবিরাজদের পছন্দের তালিকায় প্রথমে থাকে। কারন, যাদুর বস্তু রোগীর যত কাছাকাছি থাকবে, রোগী ততই ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হবে। আর পেটের মধ্যে যাদু করার মানেই হচ্ছে একজন রোগী সারাক্ষণ যাদুর বস্তু বহন করে বেড়ানো। যা তাকে প্রতিনিয়ত চলাফেরায়, কাজকর্মে, ঘুমে, পড়াশুনায়, খাওয়া দাওয়ায়, নামাজে, আমলে অসহ্য যন্ত্রণা দিতে থাকবে। যাদুর প্রভাব যত দীর্ঘদিনের হবে, রোগীর যন্ত্রনা তত তীব্র ও স্থায়ী হবে। আপনি যদি একজন পেটের যাদুতে আক্রান্ত রোগী হোন তাহলে আজকের এই রুকইয়াহ সেবার প্রবন্ধটি আপনার জন্য। আজকের এই প্রবন্ধে আমরা পেটের যাদু নষ্টের আমল, সাপ্লিমেন্ট এবং নিয়মরীতি বিস্তারিত বর্ণনা করবো।

অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন : 01708-732272

পেটের যাদু নষ্টের সকল আমল ও নিয়মরীতি:

পেটের যাদু নষ্ট করার জন্য যে নিয়মরীতি অনুসরণ করতে হবে তা আমরা ৩ টা শ্রেনিতে বিন্যাস করেছি। রুকইয়াহ পদ্ধতি, গোসল পদ্ধতি এবং সাপ্লিমেন্ট পদ্ধতি। এই ৩ পদ্ধতির নিয়মরীতি গুলো একই সাথে প্রতিদিন পালন করে যেতে হবে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত। শুধু গোসলের নিয়ম ১ সপ্তাহ পর্যন্ত অনুসরণ করলেই চলবেই।

পেটের যাদু নষ্টের রুকইয়াহ :

জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ শোনা বা পড়ার জন্য, নিয়ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই জন্য আপনি যেই সমস্যার জন্য রুকইয়াহ এর আয়াত শুনতেছেন বা পড়তেছেন, আগে থেকেই সেই সমস্যার নিয়ত করে নিবেন। যেমন: আমরা যদি পেটের যাদুতে আক্রান্ত হই তাহলে যাদু নষ্টের রুকইয়ার আয়াত শোনা বা পড়ার পূর্বে নিয়ত করবো, হে আল্লাহ আপনার এই পবিত্র বানী বা আয়াতের উছিলায় আমাদের পেটের সকল যাদু নষ্ট বা ধ্বংস করে পরিপূর্ণ সুস্থতা দিন। এরপর আমরা যাদু নষ্টের আয়াত গুলো বার বার পাঠ করবো। যদি পাঠ করতে না পারি তাহলে যাদু নষ্টের রুকিয়ার আয়াত এর অডিও শুনবো। সম্পূর্ন মনোযোগ দিয়ে সর্বোনিম্ন ১ ঘন্টা আর সর্বোচ্চ যতক্ষন পারি এই আয়াত গুলো পড়বো বা শুনবো। এই পদ্ধতিটি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত অনুসরণ করে যাবো।

পেটের যাদু নষ্টের গোসল:

পেটের যাদু বা শরীরের যেকোনো যাদু নষ্টের জন্য এই গোসল পদ্ধতিটি অবলম্বন করবো ১ সপ্তাহ পর্যন্ত। এর জন্য আমরা ৭ টি বড়ই পাতা ছিড়ে, ভালো করে ধুয়ে নিয়ে পাতাগুলোকে বেটে ফেলবো। এরপর বড় একটি বালতিতে এক বালতি পরিমাণ পানি নিবো। সেই পানিতে বাটা বড়ই পাতা গুলো মিশিয়ে করে ভালো করে নেড়ে নিবো। এরপর যাদু নষ্টের আয়াত বা সুরা গুলো পড়ে সেই পানিতে ফু দিবো। প্রতি আয়াত ৩ বার অথবা ৫ বার বা ৭ বার এইভাবে যত বেশি পড়তে পারবো যাদু নষ্টের জন্য তত বেশি কাজে দিবে। আর যতবার সুরা বা আয়াত গুলো পড়বো ততবার বালতির পানিতে ফু দিবো। এরপর বালতি থেকে ১ গ্লাস পানি নিয়ে যাদু নষ্টের নিয়তে পান করে ফেলবো। তারপর বাকি সবটুকু পানি দিয়ে গোসল সেরে ফেলবো। গোসল অবস্থায় বালতির পানি কমে যাওয়াতে এই পড়া পানিতে এক্সট্রা কোনো পানি মিক্স করবেন না। সম্পূর্ণ পানিটুকু দিয়েই গোসল করবেন। এরপর গোসল পরিপূর্ণ না হলে আবার এক বালতি পানি নিয়ে বা যতটুকু লাগে তা দিয়ে পরিপূর্ণ গোসল সেরে ফেলবেন। অর্থ্যাৎ পড়া পানিতে কোনো নতুন পানি মিশাবেন না। এই গোসল পদ্ধতিটি ৭ দিন পর্যন্ত অনুসরণ করে যেতে হবে।

পেটের যাদু নষ্টের সাপ্লিমেন্ট :

এই পদ্ধতিতে পেটের যাদু নষ্টের জন্য ওষুধ এর মত বিভিন্ন সাপ্লিমেন্ট তৈরী করবো। যেমন: সরিষার তৈল, কালো জিরা, মধু, খেজুর, লবন, পানি, ইত্যাদি। প্রতিদিন অল্প অল্প করে ১ মাস খেয়ে যাওয়ার মত এই আইটেম গুলো সংগ্রহ করে নিবো। আপনাদের ইচ্ছানুযায়ী আইটেম গুলো কম বেশি রাখতে পারেন। যত বেশি রাখা যায় তত বেশি উপকার পাওয়া যাবে। তবে এর মধ্যে পানি ও তেল অবশ্যই রাখতে হবে। এরপর আমরা যেই যেই আইটেম গুলো সংগ্রহ করবো সেই আইটেম গুলোর উপর যাদু নষ্টের আয়াত বা সুরা গুলো পড়ে পড়ে ফু দিবো। প্রতিটি আয়াত বা সুরা ৩ বার ৫ বার বা ৭ বার যত বেশি পারা যায় প্রতিটি আইটেম এর উপর ফু দিবো। এরপর এই গুলো আমরা প্রতিদিন খাবো পরিমান মত একমাস পর্যন্ত। শুধু তেলপড়া টা শরীরে মাখবো। বিশেষ করে ব্যাথার স্থানে।

এখানে পেটের যাদু নষ্টের যেই নিয়মরীতি গুলো বলা হয়েছে। এই সকল নিয়মরীতি গুলো যেকোনো ধরনের যাদু নষ্টের জন্য প্রযোজ্য হবে। আয়াত পড়া বা শোনা, গোসলের পানি তৈরী, সাপ্লিমেন্ট বানানোর সময় আপনাদের সমস্যা অনুযায়ী শুদু নিয়ত করলেই চলবে। ব্যাস, এরপর হয়ে যাবে যেকোনো যাদু নষ্টের সাপ্লিমেন্ট।

যাদু নষ্টের আয়াত সমূহ:

নিম্নে যাদু নষ্টের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত সমূহ দেওয়া হলো। জিন, যাদুর যেকোনো সমস্যার সকল প্রকার রুকইয়ার জন্য দুরুদ শরীফ ও সুরা ফাতিহা সব সময় সংযুক্ত করে নিবো। নিম্নোক্ত সকল আয়াত বা সুরা গুলো না পারলে শুধু আয়তুল কুরসি ও তিন কুল দিয়ে (সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস) রুকইয়াহ, গোসল, সাপ্লিমেন্ট তৈরী করলে ও চলবে। আর সব গুলো আয়াত বা সুরা গুলো পড়তে পারলে তো আলহামদুলিল্লাহ। যাদু অতি দ্রুতই নষ্ট হয়ে রোগী সুস্থতার দিকে অগ্রসর হবে। আয়াত সমূহ নিম্নরূপ :

দুরুদ শরীফ (৩,৫,৭ বার)
সুরা ফাতিহা (৩,৫,৭ বার)
সুরা বাকারা ১০২ আয়াত। (৩,৫,৭, বার)
সুরা আরাফ ১১৭-১২২ আয়াত। (৩,৫,৭ বার)
সুরা ইউনুস ৮১-৮২ আয়াত। (৩,৫,৭ বার)
সুরা ত্বহা ৬৯ আয়াত। (৩,৫,৭ বার)
আয়তুল কুরসি (৩,৫,৭ বার)
সুরা ইখলাস (৩,৫,৭ বার)
সুরা ফালাক (৩,৫,৭ বার)
সুরা নাস ( ৩,৫,৭ বার)

মহান আল্লাহ যেনো আমাদের জিন, যাদু, নজর সংক্রান্ত সকল সমস্যা থেকে হেফাযতে রাখেন। পবিত্র কুরআনের এই আয়াত গুলোর উছিলায় আল্লাহ তায়ালা যেনো সব ধরনের যাদু টোনা নষ্ট করে দেন আমীন।

অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন, যাদু, নজরের রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে যোগাযোগ করুন : 01708-732272

1 thought on “দীর্ঘ দিনের পেটের যাদু নষ্টের আমল”

Leave a Comment