মানব শরীরে জিন, যাদু, বদনজর ওয়াসওয়াসা থাকার লক্ষন সমূহ।

আমাদের অজান্তেই আমাদের শরীরে জিনের বসবাস বা যাদু, বান, কুফরী (Black Magic) বদনজর (Evil Eye) ইত্যাদির প্রভাব থাকে যা আমাদের বেশির সময়েই অজানা থাকে। যেমন: আশিক জিনের প্রভাবের মাধ্যমে আমাদের বিয়েশাধি আটকা পড়ে থাকে এবং আমরা বিবাহিত হলে বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটে থাকে ও শারীরিক ভাবে আমাদের সাথে এই আশিক জিন গুলো মেলামেশা পর্যন্ত করে থাকে। চালান জিনের মাধ্যমে আমাদের বিভিন্ন প্রকার রোগ ব্যাধি শারিরিক ক্ষয়ক্ষতি, বিচ্ছেদ, মানসিক সমস্যা, ব্যবসায়িক অবনতি ইত্যাদি হয়ে থাকে। বদনজরের প্রভাবে বিশেষ করে আমাদের বাচ্চারা বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধির কবলে পড়ে থাকে যা একসময় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটিয়ে থাকে এছাড়া ও আরো বিভিন্ন ধরনের জিন্নাত এর আক্রমণ দ্বারা আমাদের আরো নানান রকম সমস্যার দেখা মিলে। যা আমরা বেশিরভাগ সময়ই বুঝতে পারিনা, যার ফলে আমরা বিভিন্ন ডাক্তারি চিকিৎসা নিয়ে থাকি এবং ফলাফল থাকে শুন্য।

অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন যাদু বদনজরের  রুকইয়াহ সার্ভিস নিতে কল করুনঃ  01708732272

আর তাই আজকের এই রুকইয়াহ সেবার প্রবন্দে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আমরা বুজতে পারবো আমাদের শরীরে জিন যাদু কুফরি বান বদনজর ইত্যাদির সমস্যা রয়েছে।

আমাদের শরীরে জ্বিনের বসবাস আছে কিনা বুজবো কিভাবে? এবং শরীরে জ্বিন উপস্থিত থাকার লক্ষণ সমুহ।

আমাদের শরীরের থাকা জ্বিন এটা হতে পারে নজর বা হাসাদের কারণে বা আসিক জ্বিন বা যাদুর জন্য নিয়োজিত জ্বিন। প্রথমেই জেনে নেই যদি শরীরে জ্বিনের বসবাস থাকে তাহলে ঘুমন্ত অবস্থায় কি কি সমস্যা হতে পারে।

মানব শরীরে জিনের বসবাস থাকলে ঘুমন্ত অবস্থার লক্ষণসমূহ—

১) রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া ।

২) অস্থিরতা : রাতে বারবার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া ।

৩) ঘুমের মধ্যে হঠাৎ লাফিয়ে ওঠা।

৪) ঘুমের মধ্যে দাত দিয়ে নক কাটা।

৫) নিদ্রাবস্থায় হাসি, কান্না অথবা জোড়ে চিৎকার করে ওঠা ।

৬/ স্বপ্নে কোন প্রাণীকে আক্রমণ করতে দেখা যেমনঃ সাপ, কুকুর, বিড়াল, ইঁদুর, পেঁচা, সিংহ, শিয়াল, ষাড়, বানর,পাখি ইত্যাদি।

৭) ঘুমের মাঝে চিৎকার করা, গোঙানো, হাসি-কান্না করা।

৮) ঘুমন্ত অবস্থায় হাঁটাহাঁটি করা।

৯) স্বপ্নে নিজেকে অনেক উঁচু কোনো যায়গা থেকে পড়ে যেতে দেখা।

১০) স্বপ্নে মানুষের আকৃতির মতো ভয়ংকর কাউকে দেখা যেমন- খুবই লম্বা, অনেক খাটো, মিডিয়াম ,অনেক সাদা, অনেক কালো, অথবা কেউ আপনাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে ইত্যাদি।

১১) বোবায় ধরা অর্থাৎ ঘুমের মাঝে কেউ চেপে ধরে- ফলে কথা বলা এবং হাত পা নাড়াচাড়া করতে না পারা। প্রায়ই রাতে এমন ঘটনা ঘটা।

১২) স্বপ্নে গোরস্থান বা পরিত্যক্ত যায়গা, অথবা কোনো মরুভূমি বা সাগর, নদী ইত্যাদি দেখা।

১৩) স্বপ্নে কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে দেখা।

১৪) বেশি বেশি স্বপ্নদোষ হওয়া।

১৫) স্বপ্নে নিজেকে উড়তে দেখা।

১৬) কোন বিপদ হলে সেগুলো আগে স্বপ্ন দেখা। এবং পরবর্তীতে সেগুলো বাস্তবায়ন হওয়া।

১৭) স্বপ্নে বিভিন্ন জিনিস খাওয়া।

জাগ্রত অবস্থায় শরীরে জ্বিন থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে।

মানব শরীরে জিনের বসবাস থাকলে জাগ্রত অবস্থার লক্ষণসমূহ—

১) সর্বদা মাথাব্যাথাঃ চোখ, নাক, কান, দাত, গলা অথবা পাকস্থলীর কোনো সমস্যা ছাড়াই সর্বদা মাথাব্যাথা । যা ঔষধ খেয়েও নিরাময় হয়না ।

২) হঠাৎই অজ্ঞান বা বেহুশ হয়ে যাওয়া।

৩) দাঁতে-দাঁতে খিল লেগে যাওয়া।

৪) মুখ থেকে ফেনা বের হওয়া ।

৫) চেহারার রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া ৷

৬) মৃগীরোগ।

৭) একা একা কথা বলা আবার অনেক সময় ভিন্ন ভাষায় কথা বলা, যে ভাষায় কথা বলতে সে অভ্যস্ত নয়।

৮) নিজের অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক সময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ঘোরাফেরা করা।

৯) প্রায়ই অদ্ভুত আওয়াজ, কেউ নাম ধরে ডাকছে ইত্যাদি শুনতে পাওয়া। যা অন্য কেউ শুনতে পায় না।

১০) মাঝে মাঝে কোন কিছুই ভালো লাগেনা ফলে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করে।

১১) প্রায় সময় মনে হয় কেউ একজন ফলো করছে অথবা পিছনে পিছনে হাঁটছে।

১২) চিন্তা ও মননে দুশ্চিন্তা, হতাশা, অস্থিরতা ও আতঙ্কভাব বিরাজ করা এবং অকারণে অতিরিক্ত ভয় পাওয়া।

মানব শরীরে কুফরী, বান, বা যাদু থাকার লক্ষণ সমূহঃ

১) দীর্ঘক্ষন মাথাব্যথা এবং প্রচন্ড ব্যাকপেইন।

২) বিকেল অথবা সন্ধ্যার পর থেকে হাত পা জালাপোড়া বা অস্থিরতা শুরু হ‌ওয়া।

৩) ব্যাথা মুভমেন্ট করা অর্থাৎ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে দৌড়াদৌড়ি করা।

৪) হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়া বা এলার্জি বেড়ে যাওয়া এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা শুরু হওয়া।

৫) মাঝে মধ্যে হাত পাও বাকা করে ফেলা আবার ঠিক হয়ে যাওয়া।

৬) চুল ওঠে যাওয়া।

৭) হঠাৎ করে কানে কম শোনা

৮) হঠাৎ দাঁতে ব্যথা হওয়া, রক্ত পড়া, দাঁতে ক্ষয় ইত্যাদি।

৯) বুক ধড়পড় করা।

১০) অল্পতেই প্রচন্ড রেগে যাওয়া।

১১) প্রায় সময় ঘুম থেকে উঠার পর কোন কারণ ছাড়াই লজ্জাস্থানে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া।

১২) অনিয়মিত পিরিয়ড বা পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাওয়া।

১৩) পিরিয়ডের সময় প্রচন্ড ব্যথা অনুভব হওয়া।

১৪) স্বামী স্ত্রীর কোন একজন এর যৌন মিলনে অনুভূতি না হওয়া।

১৫) পরকিয়ায় আসক্ত হওয়া।

১৬) স্বামী স্ত্রীর মাঝে সর্বদা ঝগড়া লেগে থাকা।

১৭) গৃহপালিত পশু মারা যাওয়া, গরুর দুধ না হওয়া।

১৮) ব্যবসায়িক অবনতি ঘটা

১৯) বিনা কারণে হঠাৎ চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়া।

২০) ইবাদত বিমুখতা- সালাত,যিকির, তিলাওয়াতে অলসতা এবং উদাসীন হয়ে যাওয়া।

বদনজর হলে আমরা কিভাবে বুজতে পারবো  বা বদনজরের লক্ষণ সমূহ  গুলো কি কি নিম্নে আলোচনা করা হলো।

মানব শরীরে বদনজরের প্রভাব থাকার লক্ষণ সমূহঃ

১) শরীরের সব সময় জর থাকা কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।

২) কাজ কর্ম, পড়াশোনা, ও ইবাদতে মন না বসা। বিশেষ করে ইবাদতে অনীহা আসা।

৩) কোনো কারন ছাড়াই কান্না আসা।

৪) বেশিভাগ সময় শরীর দূর্বল থাকা, খেতে না চাওয়া বমি বমি ভাব আসা।

৫) চেহারা ধূসর বা হলুদ বর্ণ ধারন করা।

৬) মাঝেমধ্যে বুক ধড়ফড় করা, দমবন্ধ বা অসহ্য লাগা।

৭) অতিরিক্ত চুল পড়া। চিকিৎসায় কাজ না হওয়া।

৮) আত্মীয় সজন বন্ধুবান্ধব এদের কাউকে দেখলে বিরক্ত লাগা।

৯) প্রচুর পরিমানে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা দেখা দেওয়া। বিশেষ করে পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।

১০) মেজাজ সব সময় রুক্ষ থাকা।

১১) অল্পতেই রেগে যাওয়া।

১২)বিভিন্ন রোগব্যাধি লেগে থাকা, ডাক্তারের শরনাপন্ন হওয়ার পর ও কোনো উন্নতি না আসা।

১৩) হাতে পায়ে গালে সব সময় ব্যাথা থাকা বা শরীরের ব্যথা একজায়গা থেকে অন্য জায়গায় নাড়াচাড়া করা।

১৪) ব্যবসা বা কাজ কর্মে ঝামেলা লেগে থাকা এবং কোনো উন্নতি না হওয়া।

১৫) আমরা যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।

১৬) কোনো কারন ছাড়াই কান্না আসা।

১৭) বাচ্ছারা খেতে না চাওয়া।

১৮) বাচ্ছারা অহেতুক কোনো কারন ছাড়া সারাক্ষন কান্না করা।

১৯)বাচ্ছাদের আচার আচরণে অসাভাবিকতা লক্ষ্য করা।

২০) আসে পাসে সবসময় ছায়ার অনুভব করা বা কেউ হাঠাচলা করতেছে এইরকম টের পাওয়া।

২১) রাতে ঘুমের মধ্যে ভয়ানক সপ্ন দেখা ইত্যাদি।

মানব শরীরে ওয়াসওয়াসা বা শুচিবায়ু রোগ থাকার লক্ষণ সমূহঃ

১. আপনি ইদানীং কারণে-অকারণে চিন্তিত থাকছেন? মাথায় বিক্ষিপ্ত চিন্তা ঘোরাঘুরি করার কারণে দৈনন্দিনের কাজ, সালাত, ইবাদত, যিকির, তিলাওয়াত ইত্যাদিতে মন বসছে না?

২. আপনি অথবা আপনাদের পরিবারের কোন একজন কি হঠাৎ পরিবর্তন হয়ে গেছে? কেমন যেন উদাস ভাব চলে এসেছে, কিছুই ভালো লাগছে না।

৩. সালাত বা ওযু নিয়ে বেশি দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন? বারবার মনে হচ্ছে ঠিকমতো ওযু হচ্ছে না, নামাজের এই অংশটা ঠিকমত হল না।

৪. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অথবা পরনের কাপড় নিয়ে আপনি কি অতিরিক্ত চিন্তা করছেন?

৫. আপনি কি অপ্রয়োজনে টয়লেট বা বাথরুমে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করছেন?

৬. আপনি কি আপনার প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে বাজে স্বপ্ন দেখছেন? যা আপনাকে ভীত করছে?

৭. আপনার কানে কি ফিস ফিস করে শোনা যাচ্ছে আপনি কুফরের দিকে ধাবিত হচ্ছেন (কুফরি করছেন)

৮. আপনি কি ওযু-গোসল বা ইস্তিঞ্জার সময় এক অঙ্গ বারবার ধুচ্ছেন? তবুও মনে হচ্ছে ধোয়া হয়নি ঠিকমতো।

৯. আপনার বারবার মনে হচ্ছে যে, ওযু ভেঙ্গে যাচ্ছে? মনে হচ্ছে প্রসাবের ফোঁটা পড়ছে, অথবা সবসময় মনে হচ্ছে বায়ু বের হয়ে যাচ্ছে? কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না?

১০. আল্লাহ, রাসুল অথবা ঈমানের ব্যাপারে, ইসলামের মৌলিক ব্যাপারে অবমাননাকর মাথায় চিন্তা আসে?

১১. মুরব্বি, উস্তায বা বয়োজ্যেষ্ঠদের সামনে বসলে, তাদের সাথে কথা বলতে লাগলে কি আপনার ভেতর থেকে কেউ বারবার বেয়াদবির জন্য উস্কে দিতে চায়?

১২. আপনি কি কোন অদ্ভুত শব্দ কণ্ঠ শুনতে পাচ্ছেন? কারো সাথে এটা নিয়ে আলোচনা করলে ভাবছে, আপনি প্যারানয়েড বা পাগল হয়ে যাচ্ছেন!

১৩. আপনি কি নামাজের রাকাত ভুলে যাচ্ছেন? অথবা অন্য আরকানগুলোর ব্যাপারে ভুল হচ্ছে? সাজদাহ একটা দিয়েছেন না দুইটা দিয়েছেন সন্দেহ লাগছে? আর এসব কি প্রায় দিনই হচ্ছে?

১৪. নামাজে সাজদা করতে গেলে মনের মধ্যে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি কিংবা দেবদেবীর মুর্তি ভেসে উঠছে?

বিঃদ্রঃ উপরোল্লিখিত লক্ষণগুলোর মধ্যে ২/১ টা লক্ষণ হঠাৎ কখনো ২/১বার প্রকাশ পেলেই জ্বিনের আছর, যাদু, বদনজর, ওয়াসওয়াসা বলে ধরে নেয়া যায়না । কারণ, এগুলোর মধ্য থেকে কিছু কিছু লক্ষণ অন্য কোন শারীরিক বা মানসিক কোন রোগের কারনেও প্রকাশ পেতে পারে । সুতরাং, এই লক্ষণ গুলোর মধ্যে অধিকাংশ লক্ষণ গুলো প্রায়ই কারো মাঝে প্রকাশ পেলে এবং ডাক্তারি চিকিৎসায় কোন সমধান খুঁজে না পাওয়া গেলে; তখন আমরা ধারনা করতে পারি জ্বিনের আছর, যাদু, বদনজর, বা ওয়াসওয়াসার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। এই সমস্যা গুলো নিশ্চিত হওয়ার জন্য রুকইয়াহ’র এর আয়াতের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখবো আমরা ।

নিম্নে উল্লেখিত রুকইয়াহ এর সুরা এবং আয়াত গুলি নিজের মাথায় হাত রেখে পাঠ করুন অথবা আয়াত এবং সুরা গুলো একত্রে অডিও শুনুন। তাহলে আপনি আপনার সমস্যা বুঝতে পারবেন।

যা পড়বেন বা শুনবেন

১. সুরা ফাতিহা।

২. সুরা বাকারা ১-৫।

৩. সুরা বাকারাহ ১০২।

৪. সুরা বাকারাহ ১৬৩-১৬৪।

৫. সুরা বাকারাহ ২৫৫।

৬. সুরা বাকারাহ ২৮৫-২৮৬।

৭. সুরা আলে ইমরান ১৮-১৯।

৮. সুরা আ’রাফ ৫৪-৫৬।

৯. সুরা আ’রাফ ১১৭-১২২।

১০. সুরা ইউনুস ৮১-৮২।

১১. সুরা ত্বহা ৬৯।

১২. সুরা মু’মিনুন ১১৫-১১৮।

১৩. সুরা সফফাত ১-১০।

১৪. সুরা আহকাফ ২৯-৩২।

১৫. সুরা আর-রাহমান ৩৩-৩৬।

১৬. সুরা হাশর ২১-২৪।

১৭. সুরা জিন ১-৯।

১৮. সুরা ইখলাস।

১৯. সুরা ফালাক।

২০. সুরা নাস।

আয়াত পাঠ কিংবা অডিও শোনার সময় যে যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে আপনার মাঝে। যা পুর্বে ছিল না। যেমনঃ প্রচন্ড মাথা ব্যথা, শরীরের জ্বলাপুরা, পেটে ব্যথা, বুক ধরফর করা, ঘুম আসা,বমি বমি ভাব, হাত বা পায়ের আঙ্গুল বাকা হতে দেখা, পিঁপড়ের মতো শরীরে কিছু চলাফেরা করে অনুভব করা, শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া, হাতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা, মেরুদন্ডে ব্যথা, এলার্জি মতো শরীরে চুলকানি শুরু হয়ে যাওয়া, কান দিয়ে গরম বাতাস নির্গত হচ্ছে অনুভব হওয়া,পিছনে কেউ দাড়িয়ে আছে অনুভব হওয়া, শরীর কেউ নাড়াচাড়া করছে অনুভব হওয়া, বুকে/বুকের কোনো এক সাইডে/বুকের মাঝখানে ব্যাথা করা।শরীরে/কোমরে/পায়ে সামান্য বা প্রচন্ড ব্যাথা,পেটে (বা অন্য যেকোনো অঙ্গে) প্রচন্ড ব্যাথা,অস্বাভাবিক গরম বা ঠান্ডা লাগা,শরীর,কান, মুখ ,মাথা দিয়ে গরম বা আগুন বের হওয়া।পেটের ভিতর শক্ত কিছু অনুভব হওয়া, শরীর, ঘাড়, মাথা ওজন বা ভার ভার লাগা, শ্বাস কষ্ট হওয়া, মুখ তেতো লাগা, কফ বের হওয়া,
হাত-পা অবশ হয়ে আসা,নিজের অজান্তে বা অনিচ্ছায় বারবার পা নাড়াচাড়া করা, কেঁপে উঠা ,ঝাকি দেওয়া।
সামান্য বা প্রচন্ড জ্বর সর্দি অনুভূত হওয়া ইত্যাদি। তবেই আপনি মনে করে নিবেন আপনি জ্বিন বা যাদুগ্রস্ত তখনই আপনি আপনার রুকইয়াহ করুন বা অভিজ্ঞ কোনো রাকীর শরনাপন্ন হোন।

অভিজ্ঞ রাকীর মাধ্যমে জিন যাদু বদনজরের চিকিৎসা নিতে কল করুনঃ  01708732272

1 thought on “মানব শরীরে জিন, যাদু, বদনজর ওয়াসওয়াসা থাকার লক্ষন সমূহ।”

Leave a Comment