রুকইয়াহ করার আগে একজন রাকীর করণীয় কাজ সমূহ ।

রুকইয়াহ শব্দের অর্থঃ ঝাড়ফুঁক, মন্ত্র ইত্যাদি। রুকইয়াহ শারইয়্যাহ হচ্ছে, শরিয়াত সম্মত ঝাড়ফুঁক। অর্থাৎঃ কুরআন সুন্নাহর আলোকে রাসুল সাঃ এর দেখানো পদ্ধতিতে কোনো জিন, জাদু, নজর, হাসাদ ও সেহেরগ্রস্ত রোগী অথবা অসুস্থ ব্যাক্তিকে ঝাড়ফুক বা চিকিৎসা করানোর পদ্ধতিকেই রুকইয়াহ শারইয়্যাহ বলে। আর যিনি এই রুকইয়াহ সেবা দিয়ে থাকেন, তাকে রাকী বলা হয়ে থাকে। অভিজ্ঞ রাকী দ্বারা জিন, জাদু, নজর ও সেহেরগ্রস্ত রোগীর রুকইয়াহ সার্ভিস  নিতে কল করুন এই নাম্বারেঃ 01708-732272

জিন, জাদু, বদ নজর ও সেহেরগ্রস্ত রোগী কিংবা শারীরিক ব্যধিতে আক্রান্ত রোগীকে ঝাড়ফুঁক করার আগে একজন রাকীর নিম্নের কাজগুলো করতে হবে।

১. রোগীর ঘর থেকে সমস্ত ফটো-ছবি বের করে দিতে হবে, যেন উক্ত ঘরে রহমতের ফিরিশতা আগমন করতে পারে।

২. রোগীর দেহ থেকে সমস্ত তাবীজ খুলে আগুনে পুড়িয়ে ফেলতে হবে অথবা মাটিতে দাফন করে দিতে হবে। কারণ প্রচলিত তাবীজগুলো শিরকী কালামে ভরপুর থাকে ।

৩. যেখানে বসে ঝাড়ফুঁক করা হবে, সেখানে কোনোরূপ গানবাদ্যের আওয়াজ পৌঁছতে পারবে না ।

৪. ঝাড়ফুঁকের স্থানে কোনোরূপ শরিয়ত বিরোধী কাজ থাকতে পারবে না । যেমন পুরুষের গলায় স্বর্ণের চেইন ও বেপর্দা নারী ইত্যাদি।

৫. চিকিৎসক রুকইয়াহ শুরু করার পূর্বে রোগী ও ঘরের লোকদের সামনে আল্লাহর তাওহীদ সম্পর্কে বয়ান পেশ করবেন, যাতে সকলের অন্তরে আল্লাহর একত্ববাদ, মর্যাদা ও ভয় প্রতিষ্ঠিত হয় ।

৬. ঝাড়ফুঁক করার পূর্বে আপনি ওযু করে নিবেন এবং উপস্থিত সবাইকে ওযু করার নির্দেশ দিবেন। মহিলা রোগী হলে পর্দাসহ আসতে বলবেন। সে যেন একটি চাদর দিয়ে তার সমস্ত শরীর ঢেকে নেয়, যাতে চিকিৎসার সময় বেপর্দা হয়ে যাওয়ার আশংকা না থাকে।

৭. উপরন্তু মহিলার সঙ্গে মাহরাম পুরুষ অবশ্যই থাকতে হবে। যেমন- পিতা, ভাই, পুত্র, স্বামী প্রমুখ। মজলিসে কিছুতেই কোনো গায়রে মাহরাম পুরুষ থাকতে দিবেন না। তাহলে ঝাড়ফুঁকের ক্রিয়া নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে ।

এসব বিষয়ে রোগী বা রোগীর অভিভাবকরা যদি আপনার সঙ্গে একমত হয়, তাহলে রুকইয়াহ করা যেতে পারে। অন্যথায় রোগীকে রুকইয়াহ না করা উচিত। কারণ এসব শর্ত পূরণ না হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝাড়ফুঁক বেকার ও নিষ্ফল হয়ে যায় । তাই রোগীকে বিদায় করে দেবেন।

সর্বশেষ কথা হলো- আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করবেন এবং তার কাছে কায়মনোবাক্যে সাহায্য চাইবেন। একই সাথে চিকিৎসা কার্যকর হওয়ার জন্য চিকিৎসক ও রোগীর অন্তরে কুরআনের আয়াত ও মাসনুন দুআর রুকইয়াহ এর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকা জরুরি । তাই রোগী ও তার অভিভাবকদের মাঝে অনাস্থা পরিলক্ষিত হলে আপনি রুকইয়াহ থেকে বিরত থাকবেন। কারণ এমতাবস্থায় আপনার পরিশ্রম স্বার্থক হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই ।

Leave a Comment